Breaking News

মা গ্রামের বাড়িতে অবসরজীবন কাটাতে চান : জয়

গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের কয়েকদিন পর শুক্রবার (৯ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি থেকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, তার মা বিদেশে থাকতে চান না। তিনি বাংলাদেশে ফিরতে চান।

এনডিটিভির প্রতিবেদন মতে, শেখ হাসিনা তার প্রধানমন্ত্রিত্বের শেষ দুই মেয়াদে অবসরে যেতে চেয়েছিলেন বলে সাক্ষাৎকারে জোর দিয়ে বলেছেন জয়। তবে মায়ের আবারও সক্রিয় রাজনীতিতে ফেরার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি তিনি।

সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘আমি গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে তার (শেখ হাসিনা) সঙ্গে কথা বলেছি। এখন পর্যন্ত তার কোনো পরিকল্পনা নেই। তিনি এক জায়গাতেই রয়েছেন। ভিসা বা রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন নিয়ে যেসব জল্পনা চলছে, তার কোনোটাই সত্য নয়।’

জয় আরও বলেন, তিনি (শেখ হাসিনা) যেটা চাচ্ছেন সেটা হলো বাংলাদেশে ফিরে যাওয়া। সেটা রাজনীতিতে ফেরার জন্যও হতে পারে আবার অবসরের জন্যও হতে পারে। এটা তার দেশ। তিনি সেখানেই বড় হয়েছেন। এটাই তার শেষ মেয়াদ হতো, তার বয়স ৭৬ বছর। তিনি টুঙ্গিপাড়ায় তার গ্রামের বাড়িতে অবসরজীবন কাটাতে চান। এটা তার স্বপ্ন। তিনি বাংলাদেশের বাইরে কোথাও অবসরজীবন কাটাতে চান না।’

শেখ হাসিনা সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে জয় বলেন, ‘এই প্রশ্নের উত্তর তিনিই (শেখ হাসিনা) ভালো দিতে পারবেন। জয় দাবি করেছেন, তার মা দেশের জন্য রাজনীতি করেছেন, ক্ষমতার জন্য নয়।

জয় বলেন, ‘গত দুই মেয়াদেই তিনি অবসরে যেতে চেয়েছেন। এমনকি প্রতিটি নির্বাচনের আগে তিনি আমাকে দেশে ফিরে রাজনীতিতে যোগ দেয়ার জন্য জোরাজুরিও করেছেন। আমাদের পরিবারের কেউই ক্ষমতা বা রাজনীতির প্রতি উচ্চাকাঙ্ক্ষী ছিলেন না।’

এখন দলের নেতৃত্ব দিতে চান কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে জয় বলেন, ‘আমার মনে হয়, এখন আমি এমনিতেই তা হয়ে গেছি। আমি কখনও এটা চাইনি। আমার কোনো রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা নেই। কিন্তু যখনই আমি জানতে পারলাম, আমাদের দলের নেতারা হামলার শিকার হচ্ছেন, তাদের বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে। আমি বলেছি, আমি তাদের হাত ছেড়ে দিতে পারি না।’

শেখ হাসিনার সাবেক প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা জয় বলেন, ‘আমি আমার দলের অনেক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। আমাদের প্রায় সব মন্ত্রীর বাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। আমাদের পূর্বপুরুষের বাড়িও পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে যেটা দরকার আমি সেটাই করব। আওয়ামী লীগের এখনও লাখ লাখ অনুসারী রয়েছে, তারা রাতারাতি গায়েব হয়ে যেতে পারে না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *